ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী কর্মসূচি: শাজাহান খান

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক ::  নতুন সড়ক আইন বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় বৈঠকে আমরা বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবির বিষয় তুলে ধরব। তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) এই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করবেন সেটা বুঝে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে শ্রমিক ফেডারেশন পরবর্তী কর্মসূচি তুলে ধরবে।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর তোপখানা রোডের স্বাধীনতা ভবনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শাজাহান খান বলেন, নতুন আইনের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছি।

বর্ধিত সভায় আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দুই দিন ধরে সভা করছি। এখানে ৫৫ জনের উপরে নেতা বক্তব্য দিয়েছেন। সবার কথা আমরা ধৈর্য ধরে শুনেছি। ২৩৩টি সংগঠন আমাদের ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে দেড় শতাধিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি এখানে এসেছেন। বর্ধিত সভায় ফেডারেশনভুক্ত সংগঠনগুলো নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছেন।

নতুন আইনে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিআরটিএ’র কর্মসূচির সমালোচনা করে শাজাহান খান বলেন, বিআরটিএ থেকে একটি লিফলেট দেয়া হয়েছে সচেতন করতে। সেই লিফলেটে চালকের ১৩টি সাজার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় কী লক্ষ্য করেছেন, সচেতনতা কি শুধু শ্রমিকদের হতে হবে। মালিকদের সচেতন করতে হবে না, পথচারীদের সচেতন করতে হবে না। এখানে মালিকদের বিরুদ্ধে আইন আছে, যারা রাস্তা তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন আছে। এমনকি বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে আইন আছে। অথচ লিফলেট বিলি করে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আতঙ্কের পাশাপাশি যখন আইনটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে তখন কোনো কোনো পুলিশের কিছু ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বৃতি দিয়ে শাজাহান খান বলেন, নিরাপদ সড়কের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, শুধু চালকের নয়, এ দায়িত্ব পথচারী থেকে শুরু করে সব জনগণের। পথচারীরা ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার করেন না, আইন মানেন না। গাড়িতে বসে বাইরে হাত রাখেন। তাহলে দুর্ঘটনা তো ঘটবেই।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে একটা সুবিধা আছে। হাইকোর্টে রিট করলে একটি অর্ডার দিয়ে দেন। তারা কি বিচার করবেন না, কার দোষে এই দুর্ঘটনা ঘটল, দুর্ঘটনার বিচার বিশ্লেষণ করে চার্জশিট দিতে হবে। কার দোষে দুর্ঘটনা ঘটে সেটা বের করতে হবে। পথচারী নাকি যাত্রী, চালক নাকি মালিক- কার কারণে দুর্ঘটনা ঘটল সেটা বিবেচনা করে চার্জশিট দেয়া উচিত। আমাদের এখানে দাবি উঠেছে, যৌথ উদ্যোগে এর তদন্ত হতে হবে। এটা বের করতে হবে কে দায়ী?

সাম্প্রতিক পরিবহন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন।

পাঠকের মতামত: